বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুমিল্লার দুংখ গোমতী নদী, এ নদীর ৬টা পাড় যদি ফোরল্যান্ডে ব্রিজ করা যায় তাহলে গোমতী হবে কুমিল্লার জন্য আশীর্বাদ যার ফলে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার অর্থনীতির চাকা ঘুরে যেতে পারে। এ জন্য এর গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে জনসম্মুখে। তার জন্য আমাদের সকলকে হাতে হাত রেখে, কাদে কাদ মিলিয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। ঢাকার পর কুমিল্লা হবে হাব।
শনিবার ( ২২ মার্চ) কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন মায়ামি রেস্টুরেন্টব বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যে ট্রেন যোগাযোগ আছে ঢাকা থেকে চলে যায় টঙ্গি, টঙ্গি- নরসিংদী -ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া- আখাউড়া এবং আখাউড়া থেকে কুমিল্লা যা ১২০ মাইল অতিক্রম করতে হয়। এ দূরত্ব কমাতে আমরা নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে রেলনাইন চাই যা কুমিল্লা হয়ে চট্রগ্রাম যাবে। এ রেল লাইনের মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্রগ্রাম,চাঁদপুর, নোয়াখালী মানুষের অর্থনীতি জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. শাহ মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন এর সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়ের ৫০% ডিসকাউন্টের সুবিধা পাবে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটা স্পেশাল কার্ড করে দেওয়া হবে যা কার্ডের মাধ্যমে ইস্টার্ন মেডিকেল হাসপাতালে যেকোনো চিকিৎসা সেবার ব্যয়ের ডিসকাউন্টের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এ সুবিধা শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, বরং এ কার্ড দেখিয়ে তাদের পরিবারও সেবা গ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে একজন ছাত্র হিসেবে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ না থেকে, তারা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতির হাসিবুল ইসলাম সবুজ বলেন, আজকের এই পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের সংগঠনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আমরা একত্রিত হয়েছি শুধুমাত্র ইফতার গ্রহণের জন্য নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করার জন্য। রমজান আমাদের সংযম, সহানুভূতি ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা শুধু রমজান মাসের জন্য নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমরা যেন এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণ বয়ে আনতে পারি।আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সম্মানিত অতিথিদের প্রতি, যারা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ আমাদের রোজা, ইবাদত ও দান-সদকা কবুল করুন এবং আমাদের সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন।
কেকে/ এমএস