জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। বরং একটি মহল সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত হতে দেবো না।
শনিবার (২২ মার্চ) গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি হত্যাকারী সংগঠন। জিয়াউর রহমান বহু আগেই এই দলটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এবং এজন্য তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে, তারা পরবর্তীতে ক্ষতির শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে ছাত্র ও জনতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান—আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন নয়, বরং নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ১৯৭২-৭৩ সালেই হত্যাকাণ্ড চালায়নি, তারা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জন্যও দায়ী। ২০২৪ সালের গণহত্যার নেপথ্যে তারাই ছিল। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা যাবে না, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। বরং একটি মহল সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না। সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তারা অতীতে আমাদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই সেনাবাহিনী স্বাধীনভাবে কাজ করুক এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখুক।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি ভারতের একটি এজেন্ট।’
তারা অভিযোগ করেন, ‘১৯৭২-৭৩ সালে আওয়ামী লীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টেও তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।’
বক্তারা বলেন, ‘এই দলটি কখনোই রাজনৈতিক দল ছিল না, এটি একটি হত্যাকারী সংগঠন। তাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘আমাদের এক দফা এক দাবি—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। কর্মসূচিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও অংশ নেন।’
কেকে/এএম