কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন—রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহসভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) ও সাইদুর রহমান।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, মফিজ আর্মি ও সাইদুর আমার কাছে ২০০টি ভিজিএফ স্লিপ দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আরো ১৫-২০ জন লোকসহ এসে আমার বড় ছেলে মো. ফুল মিয়া ও ছোট ছেলে শাকিল আহমেদকে মারধর করে। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সালিশ বসলে সেখানেও উত্তেজিত হয়ে তারা আমার দুই ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এই ঘটনার মধ্যে তারা পরিষদ থেকে ৩০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিনের বড় ছেলে ফুল মিয়া বলেন, আমার বাবার কাছে মফিজ আর্মি ও সাইদুর ২০০টি ভিজিএফের স্লিপ চায়। স্লিপ না দেওয়ায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমার মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছে, আমি গুরুতর আহত।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহসভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) বলেন, শাহাব উদ্দিন মেম্বার চাল লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কিছু চাল জব্দ করেন। আমরা এটি নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেম্বার দৌড়ে এসে সাইদুরের কলার ধরে মারধর করেন। আর ২০০টি স্লিপ আমরা কেন চাইব? আমাদের কোনো কিছুর অভাব আছে নাকি!
আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম, গরিব মানুষদের না দিয়ে কেন তোমরা এভাবে চাল নিয়ে যাচ্ছ? এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং সাইদুরকে মারধর করেন।
সাইদুর মুঠোফোনে জানান, সন্ধ্যার পর সাক্ষাত এ কথা হবে।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ৩নং ওয়ার্ড সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির এলাকা। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার চাল বিতরণ করার সময় একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের উসকানিতে ওই ঘটনা ঘটছে।
অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ওই মেম্বারের তালিকা অনুয়ায়ী চাল বিতরণ করতেছেন। অনিয়ম হয়েছে কি না বিতরণ শেষ হলে তা জানা যাবে।
কেকে/এএম