মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫,
১১ চৈত্র ১৪৩১
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন      ২৭ মিনিট আটকে ছিল মেট্রোরেল      ‘সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে’      আজ লজ্জা থেকে বাঁচলাম, কলঙ্ক মুক্ত হলাম      সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা      স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা      অসুস্থ তামিমের খবর নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা      
গ্রামবাংলা
মৌলভীবাজারে ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী ৫৪৯ বছরের গয়ঘর ‘খোজার মসজিদ’
মো. এহসানুল হক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ: রোববার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম  (ভিজিটর : ৫৮)

মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক গয়ঘর ‘খোজার মসজিদ’ প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।

সুলতান শামস উদ্দিন ইউছুফ শাহ এর শাসনামলে হাজী আমীরের পৌত্র ও সেই সময়ের মন্ত্রী মজলিস আলম ১৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে মসজদিটি নির্মাণ করেন।

মসজিদটি বর্তমানে ৫৪৯ বছর পুরোনো এবং এটি এখন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে অবস্থিত। এর অপূর্ব নকশা ও কারুকার্য এখনো স্থানীয়দের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব রাখে এবং এটি মুসলিম ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মসজিদটির নির্মাণশৈলী এতটাই সুন্দর যে, এটি ইতিহাসের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এর গম্বুজ, দেয়াল, কারুকাজ এবং শিলালিপি প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক বিরাট নিদর্শন।

মসজিদের ভেতরে একটি কৃষ্ণ পাথরের শিলালিপি রয়েছে যা বেশ পুরোনো। এই শিলালিপিটি ইতিহাসের গহন কিছু তথ্য ধারণ করে।

এ ছাড়াও মসজিদের দেয়ালে একটি ‘বাঘের পায়ের চিহ্ন’ রয়েছে, যা স্থানীয়দের মতে, সেই সময়ে এলাকায় বাঘের আনাগোনা ছিল।

মসজিদের ভেতরের অংশের সৌন্দর্য অসাধারণ। মসজিদের প্রাচীন গম্বুজের সাদা রঙ, টালি যুক্ত মেঝে এবং দেয়ালের বিভিন্ন আরবি লেখা ও ফুল-লতার ছবি এটি অত্যন্ত ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান করে তোলে। একসময় এই মসজিদটির গম্বুজ ভেঙে গেলেও গ্রামবাসীর সাহায্যে পুনরায় সংস্কার করা হয়। তবে, ১৯৮৪ সালে একটি বড় সংস্কারের সময় মসজিদটির কিছু পুরনো সৌন্দর্য কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।এ ছাড়াও এই মসজিদের পাশে একটি ছোট পুকুর রয়েছে যেখানে গজার মাছ খেলা করে, এবং এখানকার ঈদগাহ মাঠে ঈদুলফিতর ও ঈদুলআজহায় হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। মসজিদের আশেপাশে একটি কবরস্থানও রয়েছে, যা মসজিদের ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

মসজিদটির নামকরণের পেছনে কিছু রহস্য রয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এটি খাজা ওসমান নামক এক বীরের নাম থেকে এসেছে, যিনি বাংলার সুবেদার মানসিংহের কাছ থেকে পালিয়ে এসে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে, এর নামকরণের নির্দিষ্ট ইতিহাস সম্পর্কে কেউই নিশ্চিত নয়।

এখন মসজিদটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে উঠেছে। বহু লোক আসে এই স্থাপত্যশিল্পের অভিজ্ঞান দেখতে এবং এখানে নামাজ পড়তে। স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের কাছে এটির সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিশেষ করে, ইউনেস্কোতে এই মসজিদটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন।

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কিশোরগঞ্জে দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
লাখাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে
সাতকানিয়ায় ৬শ পিচ ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন

সর্বাধিক পঠিত

লটারির মাধ্যমে ১৭২ জন পেলেন রাজউকের ফ্ল্যাট
ঘুষের টাকাসহ ডিবি পুলিশের ৫ সদস্য গ্রেফতার
নালিতাবাড়ীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো রুবেল রিমান্ডে
দেশে আর কোনো স্বৈরাচার আসবে না: খোকন

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close