রাজধানীর আদাবর এলাকায় ৫ বছরের এক শিশুকে নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণচেষ্টার সময় আশপাশের বাসিন্দারা দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় আদাবরের আলিফ হাউজিং পানির পাম্পের পাশে ৩৮/১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশের দাবি, এ ঘটনাটি ২১ তারিখ ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ২২ তারিখ।
তবে, এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়াসহ নানা নাটকীয়তা শুরু করে আদাবর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আটককৃত হলেন, মাইনুদ্দিন (২৯)। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, শনিবার আদাবরের আলিফ হাউজিং পানির পাম্পের সঙ্গে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে পাঁচ বছর বয়সি শিশুকে নিয়ে মাইনুদ্দিন নামে এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি দেখে চিৎকার দিলে বাসিন্দারা ছুটে আসে। ওই সময় ধর্ষণচেষ্টা করা যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে তারা।
এ ঘটনায় বাড়িটির দারোয়ান সুমন মিয়া জানান, আমরা হঠাৎ করে চিৎকার শুনে সবাই ছুটে আসি। এসে দেখি একটি পাঁচ বছরের শিশুসহ একজন যুবক বাড়ির ২য় তলায় অনেক মানুষ জড়ো হয়ে আটকে রেখেছে। যে শিশুকে ওই যুবক ২য় তলার ছাদে নিয়ে এসেছে। এই যুবকের পরিবার এ বাড়িতে থাকে না। যুবকের বাসা অন্য গলিতে।
শিশুটিকে হয়তো কোনো প্রলোভন দেখিয়ে এ বাড়ির ছাদে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি একটি নির্মাণাধীন ভবন, এখানে কোনো মানুষ থাকে না। শিশুটির চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মানুষ জড়ো হওয়ার পর সবাই মিলে শিশুকে উদ্ধার করে ওই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদাবর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, গতকাল বিকাল ৪টার দিকে অভিযুক্ত তার বাসায় নিয়ে শিশুটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে শিশুটি চিৎকার চেঁচামেচি করলে অভিযুক্ত যুবক তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন শিশুটির বাসায় অভিযুক্ত যুবক আবার গেলে তখন শিশুটি যুবককে দেখে কান্না শুরু করে। এ সময় শিশুটির বাবা অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় ফোন দিলে আমরা গিয়ে যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ আরো জানায় শিশুটিকে শ্লীলতাহানির সময় শিশুটি চিৎকার চেঁচামেচি করলে তখন শিশুটির মুখ চেপে ধরে অভিযুক্ত। এ বিষয় থানায় মামলা হয়েছে অভিযুক্ত আটক রয়েছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে।
কেকে/এএস