নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সেহরির রান্না করার সময় সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) ভোরে ফতুল্লার তল্লা বড় মসজিদ এলাকার মাসু আক্তারের ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে আহতদের উদ্ধার করে সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। দগ্ধরা হলেন-হারুন অর রশিদ (৬০), রুনা আক্তার (৪০) ও মিম (১৭)।
দগ্ধদের প্রতিবেশী নুপুর জানান, ভোরে সেহরির রান্না করতে রুনা আক্তার রান্না ঘরে প্রবেশ করে চুলা জ্বালাতে গেলে সাথে সাথে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। এসময় সে শরীরে আগুন নিয়ে রান্না ঘর থেকে বের হলে তার স্বামী ও মেয়ে আগুন নেভাতে গেলে তারাও দগ্ধ হয়। পরে পানি ঢেলে রুনার শরীরের আগুন নেভানো হয় এবং দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
নুপুর আরো জানান, বাড়িটিতে ছয়টি ঘর রয়েছে। এই ছয়টি ঘরের জন্য আলাদা একটি রান্না ঘর। রান্না ঘরটিতে দরজা এবং জানালা লাগানো ছিলো। সম্ভবত চুলা ঠিক মতো বন্ধ করা হয়নি অথবা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিলো। যার কারণে আগুন জ্বালানোর সাথে সাথে রুনার শরীরে আগুন ধরে যায়।
এ বিষয়ে ফায়াস সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সিলিন্ডারের লাইন অথবা চুলা ঠিক মতো হয়তো বন্ধ না করার কারণে রুমে গ্যাস জমে ছিলো। এসময় রুনা নামে এক নারী রান্নাঘরের চুলা জ্বালাতে গেলে আগুনে দগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার স্বামী ও মেয়েও দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদের শরীরের ১ শতাংশ, রুনা আক্তার এর শরীরের ৬২ শতাংশ ও মিমের শরীরের এক শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এদের মধ্যে রুনা আক্তারকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
কেকে/ এমএস