ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের কর্মকান্ডের বিচার হওয়া ছাড়া রাজনীতি আসার কোনো সুযোগ নেই।
রোববার (২৩ মার্চ) বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কাফরুল থানা শাখা আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভুমিকা’ শীর্ষক
তিনি বলেন, আজকে যারা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আ.লীগের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন, বিগত সময়ে তাদের ভুমিকা কী ছিল? তারা তখন কী আ.লীগকে প্রতারণার নির্বাচন থেকে ফিরে আসতে বারণ করেছেন? আজকে তাদের জন্য এত মায়াকান্না। গণহত্যার বিচার ব্যতীত রাজনীতিতে আ.লীগকে যারা পুনর্বাসনের কথা বলছেন তারাও ফ্যাসিবাদ ও দোসর। অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও গণহত্যার বিচারকাজ শুরু না হওয়া ভাল লক্ষ্যণ নয়। এতে মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের যে নেতাদের নির্দেশে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, অবিলম্বে তার বিচার করতে হবে। দল হিসেবেও আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ভারতীয় মিডিয়াগুলো বিশ্বের সামনে বাংলাদেশে ইসলামি গণজাগনের উত্থান হয়েছে তা দেখিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করছে। অথচ ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের হত্যা করছে, তাদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ভারতের ভয়ঙ্কর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশে ফের ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা কোনভাবে মেনে নেয়া হবে না। এ কথা ভারতকে বুঝতে হবে, যে জাতি নয় মাসে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারবে না ভারত। ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও জাহেল জাতি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের প্রধান ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল ও ভারতের নৃশংসতা বন্ধে কাজ করতে হবে। বিশ্বের শান্তির অন্তরায় ইসরায়েল ও ভারত। তাদেরকে কঠোর জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে না পারলে বিশ্বে শান্তি আসবে না।
মিরপুরের গ্র্যান্ড কনভেনশন হলে সংগঠনের কাফরুল থানা শাখা সভাপতি মাওলানা কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশেষ মেহমান ছিলেন- দলের কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী আইন সম্পাদক এসএম ফজলুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম আরিফ, নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ ভূঁইয়া, কাফরুল থানার সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল কাসেম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. রকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
কেকে/এজে