ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সন্মুখসারির বাহিনী। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিহিশীলতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে পরীক্ষিত বাহিনী। জুলাই অভ্যুত্থানেও তার নজীর দেশবাসী দেখেছে। ফলে সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বিষয় বানানো এবং সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এমন কিছু করা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। একই সাথে সেনাবাহিনীর জন্য রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো বা রাজনীতিতে প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার মতো কিছু করা বা বলা কারো জন্যই কল্যাণকর নয়।
রোববার (২৩ মার্চ) গাজীপুর মহানগরে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ আক্ষরিক অর্থেই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের ইতিহাসে প্রথম কোন সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, দেশে একটা গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নড়বড়ে হয়ে আছে, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে আছে। এ মুহুর্তে সকলের কাছ থেকে দায়িত্বশীল, সতর্ক ও বুদ্ধিদিপ্ত আচরনই দেশকে শুভ ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে পারে। সেনাবাহিনী তাদের ওপরে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকুক, নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে তাদের সম্পৃক্ততা তৈরি না হোক, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোই রাজনীতি করুক।’
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, অপরাধীদের বিচারের বিষয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ। তবে বিচার কাজে যে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে মানুষের মধ্যে হতাশা জন্ম নিচ্ছে। তাই বিচারে গতিশীলতা আনতে হবে। এবং দ্রুত সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
মুহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমান, মুফতি আবুল বাশার সিকদার, এস এম ওয়াহিদুল ইসলাম, কাজী আব্দুল বারেক, মুহাম্মাদ শহিদুল্লাহ জিয়া ও মুহাম্মাদ আবু জাফর হাওলাদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কেকে/ এমএস