সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর গ্রাম আদালত সচল থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিচারিক সেবায় এসেছে স্থবিরতা। এ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নেই গ্রাম আদালত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নেওয়া হচ্ছে না মামলা, বাঁধা দেওয়া হচ্ছে প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের বিচারিক কার্যক্রমে। এতে সাধারণ মানুষ গ্রাম আদালতের আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মতামত এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) বেলা ১১ টায় সৈয়দপুর ইউনিয়নে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা এবং ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ মতামত এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
কমিউনিটি মত বিনিময় সভা পরিচালনা করেন উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোহছেনা মিনা।
এ সময় সৈয়দপুর ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের গুরুত্ব সম্পর্কে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য খালেদা আক্তার, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ঈমাম, গণ্যমান্য ব্যক্তি, কমিউনিটি লিডার, এনজিও কর্মী, ছাত্র প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
সভায় গ্রাম আদালত সম্পর্কিত একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং প্রশ্ন উত্তর পর্বের মাধ্যমে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। এরপর গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প"র উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোহছেনা মিনা জানান, সীতাকুণ্ডের সবকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের পরিবর্তে প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা ইউপি সদস্যরা চাইলে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে পারেন। কিন্তু মামলাই যেখানে নেওয়া হচ্ছে না, বিচারিক সেবা পাবে কিভাবে! সাধারন মানুষের দাবি অত্যন্ত মামলা গ্রহণ করা হলে বিচারিক সেবা কিছুটা এগিয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, গ্রামীন জনগোষ্ঠীর বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রাম আদালত। আর গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে "বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প"। প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশাল এ্যাকশন (ইপসা)।
কেকে/এআর