বর্তমান যুগে পানির তৃষ্ণা মেটাতে হাতের কাছেই পাওয়া যায় সুপেয় পানির বোতল, বাসাবাড়িতে নিশ্চিত হয়েছে নিরাপদ পানির সরবরাহ। মোটর চাপলেই ভূগর্ভস্থ পানি বের হয়ে আসছে। কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর যে নির্ভরতা আমরা করছি তা কতটুকু জলবায়ুবান্ধব।
পানির এ সংকট দূর করতে সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জোড়ামতল
এলাকায় ইপসা ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের সহযোগিতায় জলবায়ুবান্ধব একটি
প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু আগে সীতাকুণ্ডের সামাজিক সংগঠন ‘স্বপ্ন ও
আগামী’ জলবায়ু কার্যক্রমবিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে যুবকদের।
আমরা ভুলে গেছি খাবার পানির জন্য একসময় নির্ভর করতে হতো খাল, নদী বা কুয়ার ওপর। সাধারণত শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানির ওপর নির্ভর করতে হতো ঢাকার নাগরিকদের। যেসব কুয়া ছিল তাতেও ছিল সুপেয় পানির অভাব। সে সময় ভিস্তিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি সরবরাহ করতেন। ইতিহাসের প্রথম ভিস্তি ছিলেন ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ‘আব্বাস’।
‘ভূগর্ভস্থ পানি বাঁচাতে পুকুর বাঁচান’ প্রতিপাদ্যে উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে তারা একটি পরিত্যক্ত পুকুরকে ব্যবহার যোগ্য করে গড়ে তুলেন। প্রথমে পুকুরটি নির্বাচন করে তারা পুকুরের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
পাশাপাশি তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে পুকুরকে ব্যবহার যোগ্য করে তুলেন। এতে পুকুরের প্রায় ৫০ এর অধিক ব্যবহারকারী বেশ উপকৃত হন বলে জানান। তাদের ভূগর্ভস্থ পানির ওপর যে নির্ভরতা তা এখন কিছুটা কমেছে বলে জানান উক্ত পুকুরের একজন অংশীদার আলাউদ্দীন।
সুবিধাভোগী আলাউদ্দীন বলেন ‘আমরা উদ্যোগটির ফলে আর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছি। কারণ এখন মোটর কম চালাতে হয়।’