মাগুরার শালিখায় সরকারি আইন উপেক্ষা করে উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের নূরপুর রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বের মাঠে ফসলি জমির মাঝ খান থেকে ভেকু মেসিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়ছে আশপাশের ফসলি জমিগুলো।
বাংলাদেশ ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন সম্পুর্ন নিষিদ্ধ থাকলেও এ আইনের তোয়াক্কা না করে উপজেলার পাঁচকাউনিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী নুরপুর গ্রামের স্বপনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ঐ মাঠের কয়েকশ একর ফসলি জমি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে পাশাপাশি স্থানীয় পরিবহন যোগে মাটি বহনের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধনেশ্বরগাতি গ্রামের এক কৃষক বলেন, যে আসে সেই টাকা খেয়ে চলে যায়। বিষয়টি প্রশাসনসহ সকলেই অবগত আছে। দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে এই অপকর্ম করলেও ধনেশ্বরগাতী ভুমি অফিস অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে।
অপর কৃষক চিন্ময় বিশ্বাস বলেন, অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করলেও নেই কোন নজরদারি। সরকারি কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করেন, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন এভাবে প্রতিনিয়ত বালু তুলে ফেললে আশপাশের ফসলি জমিগুলো হুমকির মুখে পড়বে।
জানতে চাইলে নুরপুর গ্রামের স্বপন বিশ্বাস বলেন, আমি আমার নিজস্ব জমি থেকে বালু কেটে বিক্রি করছি এতে এলাকার কোন লোকের কোনো অবজেকশন নেই।
এ ব্যাপারে শালিখা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনীষা রানী কর্মকার মুঠোফোনে জানান, ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন ও বালু বিক্রি সম্পূর্ণ বে-আইনি কাজ। ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও উত্তোলনকারী চক্রটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কেকে/এমএস