কেশবপুরে পৌর আইন উপেক্ষা করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘ ৫ যুগের পানি নিষ্কাশনের সরকারি খাল ও কালভার্টের মুখ রাতের আঁধারে মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। এতে ৪ গ্রামের একাধিক পরিবারসহ ৬ বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
রোববার (২৩ মার্চ) এঘটনার প্রতিকার চেয়ে মধ্যকুল এলাকার ওয়াজেদ খান ডবলুসহ শতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার মধ্যকুল আমতলানামক স্থানে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে সরকারি খালের কালভার্ট দিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে বর্ষার অতিরিক্ত পানি হরিহর নদীতে নিষ্কাশন হয়। পৌরসভা ইমারত নির্মাণ আইন বিধিমালা ২০০৮-এ বলা হয়েছে, পৌর এলাকায় কোনো ইমারত নির্মাণ করতে হলে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে পৌরসভায় লিখিত আবেদন করতে হবে। এরপর জমির কাগজপত্র, সয়েল টেস্ট ইত্যাদি কার্য সম্পন্নের পর পৌরসভার অনুমতি নিয়েই ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
এ আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে পার্শবর্তী মনিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে শিমুলগং রাতের আঁধারে ২০/২৫টি মাটিবাহী ট্রাক্টর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ওই সরকারি খাল ও কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলে। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে মনিরামপুর উপজেলার একাংশসহ মধ্যকুল পূর্বাঞ্চলের কামারপাড়া, মোড়লপাড়া, হাবাসপোল বিল ও বিলের ওপর নির্ভরশীল হাজারখানেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় হুমকিতে পড়বে ৬ বিলের বোরো আবাদ।
এলাকার বাসিন্দা ওয়াজেদ খান ডবলু বলেন, শিমুলগংরা পৌর আইন না মেনে এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত মাটিবাহী ট্রাক দিয়ে সরকারি খাল ও কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাও সে মানছে না। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগটি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিমুল হোসেনসহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, তিনি ২০২২ সালে ওই জমি ক্রয় করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা জমির দখল নিতে দিচ্ছিল না। মাটি ফেলতে গিয়ে খাল ও কালভার্টের মুখ ভরাট হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, সরকারি কালভার্টের মুখ ভরাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুনেছি এরপরও তারা গোপনে মাটি ভরাট কাজ চালাচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএস