পুলিশের বুলেটে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয় আওয়াল। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের আঘাত প্রাপ্ত হলেও গেজেটে নাম আসেনি আওয়ালের। মো. আওয়াল মিয়া ওরফে অন্তরের নিজ বাড়ি মদন উপজেলার মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের। আওয়াল বাবুল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কাঠমেস্ত্রী আওয়াল শহিদ আব্দুল কদ্দুছ মগড়া সেতুর পাশে কাঠের দোকানে কাজ করে। ১৮ জুলাই মদন উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ছাত্রদের সাথে যোগদান করে মো. আওয়াল মিয়া ওরফে অন্তর। আওয়াল মিয়া পুলিশের বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মদন হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি। পরে বিপ্লবের পর অন্যত্র চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
তবে আওয়ালের দাবী, ‘আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে পুলিশের বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। অথচ আমার নামে কোন গেজেট প্রকাশ হয়নি। পরবর্তি গেজেটে আওয়ালের নামভুক্ত হওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বরাবর জোর দাবি জানাচ্ছে।’
মদন উপজেলা শাখার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারোয়ার জাহান রবিউল বলেন, আমি শুনেছি আওয়াল পুলিশের বুলেটে আঘাত প্রাপ্তহওয়ার পরও তার নাম গেজেটভুক্ত হয়নি। এ রকম আরো নাম আছে যাদের নাম গেজেটে আসেনি। কেন্দ্রীয়ভাবে পরবর্তি নির্দেশনা পেলে আওয়ালের নামটি দেয়া হবে। আওয়ালকে বলবেন সে যেন আমার সাথে দেখা করে।
কেকে/ এমএস