নগদ দুই লক্ষ টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে দুই ব্যক্তিতে ছেড়ে দিয়ে পলানোর সময় রাজশাহী (আরএমপি) ডিবি পুলিশের ৫জন ও ১জন সিভিল চালককে গ্রেফতার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রবিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত ২টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, আরএমপি রাজশাহী ডিবিতে কর্মরত এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম (বিপি-৮৫০৮১২৩৪১২), কনস্টেবল রিপন মিয়া (বিপি-৯৫১৫১৭৮৭৮৭), কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ (বিপি-৯৬১৫১৭৪৯০১), কনস্টেবল মো. মাহবুর আলম (বিপি-৯৩১১১৪২০০৩), কনস্টেবল মো. বাশির আলী (বিপি-৯৩১২১৪৯০২২), ও সিভিল ড্রাইভার মো. মেহেদী হাসান।
জানা যায়, সিভিল ড্রাইভার মো. মেহেদী হাসান সিভিল গাড়িতে করে বগুড়া জেলার ধুনট থানার দিগলকান্দি এলাকায় এসে বগুড়া জেলার ধুনট থানার দিঘলকান্দি গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে রাব্বি (১৯) ও একই এরাকার মৃত শেরবান খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীরকে (২৪) নামে দুজনকে আটক করে। এসময় নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে রাব্বি ও জাহাঙ্গীরকে দেন দরবার করে নগদ দুই লক্ষ এবং বিকাশের মাধ্যমে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। রাব্বি ও জাহাঙ্গীরের পরিবার বিষয়টি তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জানায়।
পরে মহানগর ডিবি পুলিশের এসআই শাহিনের নেতৃত্বে ডিবি টিমটি পালানোর সময় কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের টহল দলের ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. মাসুদ রানা ও সঙ্গীয় ফোর্স ও অন্যান্য অফিসারের সহায়তায় শাজাহানপুর থানাধীন খরনা ইউনিয়ন বীরগ্রাম এলাকায় তাদের আটক করে। এ সময় তাদের নিকট হইতে দুই লক্ষ টাকা ও একটি ওয়াকিটকি, একটি হ্যান্ডকাফ, সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানা যায়, কনস্টেবল ওহাব আরএমপি ডিবিতে কর্মরত। সে তাদের এই টিম কে জানান, তার বাড়ি ধুনট থানায়। তার বাড়ির পাশে রাব্বি ও জাহাঙ্গীর ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত। এই টিমটি কনস্টেবলের কথা মত কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অনৈতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এহেন কার্যক্রম করেন। এ ব্যপারে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত গত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যপারে জানতে আরএমটি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া), সাবিনা ইয়াসমিনকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেকে/ এমএস