কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে তৌহিদুল হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে কুমিল্লার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত সাইদুল হাসান সবুজ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ইটাল্লা গ্রামের মোক্তল হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি যুবদল নেতা তৌহিদুলের বাবার কুলখানি অনুষ্ঠান এসেছিলেন, পরে কুলখানির আয়োজন চলাকালে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৌহিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াছমিন নাহার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২০–২৫ জনকে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইটাল্লা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে তানজিল উদ্দিন, মোক্তল হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান, খায়রুল হাসান, সাইদুল হাসান এবং বামইল গ্রামের পেয়ার আহমেদের ছেলে সোহেল।
ওই আসামিদের সঙ্গে নিহত যুবদল নেতার পরিবারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল বলে উল্লেখ করেন। নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, যুবদল নেতা তৌহিদুল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি সাইদুল হাসান সবুজ। তিনি এ হত্যাকান্ডের পর পলাতক ছিলেন। এ হত্যা মামলায় তাকে কুমিল্লার ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
কেকে/এএম