মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির সাথে এক নারীর আপত্তিকর একটি অডিও রেকর্ড গত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছেন খোদ বিএনপি নেতা কর্মীরাই। অভিযুক্ত সেই নেতা জানিয়েছেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় কয়টি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ৩০ মিনিটের ওই অডিও ক্লিপটিতে দেখা যায় একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে আপত্তিকর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। ওই নারীকে মামলা সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছেন। ওসব আইডি থেকে দাবি করা হয় অডিও রেকর্ডটি গজারিয়া উপজেলার অন্তর্গত বাউশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসমত আলী তাঁতীর। তবে ফোনে অপর প্রান্তে থাকা নারীর পরিচয় সঠিকভাবে জানা না গেলেও অডিও রেকর্ড থেকে শোনা যায় তিনি জনৈক শাহিনের স্ত্রী। ধারনা করা হচ্ছে এই অডিও ক্লিপটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ওই অডিও রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি নিয়ে হাসমত আলী তাঁতীর কড়া সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কেউ কেউ আবার অডিও রেকর্ডটি হাসমত আলী তাঁতীর নয় বলে দাবি করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল করিম তারেক বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রত। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করি আমি। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন'।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গজারিয়া উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা অডিও ক্লিপটি হাসমত আলী তাঁতীর বলে নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত হাসমত আলী তাঁতী বলেন, ' অডিওটি সুপার এডিটেড। এটি আমার কন্ঠ নয়। অন্য কোন পুরুষের কন্ঠ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে কিছুটা পরিবর্তন করে আমার বলে দাবি করা হচ্ছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ কাজের সাথে যারা জড়িত আমি তাদের বিচার দাবি করছি'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ সিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ বলেন, ' বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। বেশ কয়েকজন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছি। তদন্ত করে যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে'।
কেকে/এআর