সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়, যুদ্ধের পরিসমাপ্তিও ঘটে কুমিরায়। সীতাকুণ্ডে থানার পাশে এপ্রিল মাসে দুটির জেট বিমান থেকে গোলা বর্ষণ করে পাখির মতো মানুষকে হত্যা করে। সেদিন রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। সীতাকুণ্ডের প্রত্যেকটা বাড়িতে কেয়ামত শুরু হয়ে গিয়েছিল। এভাবে সীতাকুণ্ড থানা, প্রেম তলা, সীতা পাহাড়ে সব জায়গায় গণহত্যা করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড স্টেশন ট্রেন থেকে নামিয়েও গণহত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মো. আবুল মুনছুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সভায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এটা আমাদের অস্তিত্ব।
আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরা বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারছি। আমরা সারা বিশ্বে একটা স্বাধীন দেশ মর্যাদা পেয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধের প্রতি সব সময় আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় শ্রদ্ধা অতীতের মতো তাদের পাশে থকব।
সভায় সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমানসহ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
কেকে/এএস