পার্বত্য জেলা বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় একটি হোটেলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছাড়ের ঘোষনা দেয় বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্ধয় পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় ৭ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জেলার সব আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ এবং পর্যটকবাহী জিপ, মাহিন্দ্র ও সিএনজি চালিত টেক্সিগুলোতে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেন, বান্দরবানে প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে আর তাই তাদের বিনোদনে আরো নতুনমাত্রা যোগ করতে ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হলো। সেইসঙ্গে পর্যটনকেন্দ্রগুলো ও সব আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টসহ সর্বক্ষেত্রে আরো নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রশাসনসহ সব পর্যটন ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট রয়েছে। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দ্রুত সময়ে বান্দরবানে বন্ধ থাকা তিনটি উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. নাছিরুল আলম, সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার নিদের্শনা দেন জেলা প্রশাসক। এক মাস পর ৬ নভেম্বর দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এর পরপরই পর্যটকদের নানা ছাড়ের ঘোষণা দেয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কেকে/এমআই