মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) আসামি হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, রবিবার (২৩ মার্চ) ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন হৃদয় হোসেন ও তার দুই ভাই জসিম উদ্দিন (৩৩) এবং সুজন মিয়া (৩০)। ইতোমধ্যে হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তবে অন্য দুই আসামি পলাতক।
পরিবারের অভিযোগ, হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন মেয়েটিকে উত্যক্ত করছিল। ১৩ মার্চ রাতে চেতনানাশক প্রয়োগ করে অপহরণের পর তাকে এক সপ্তাহ আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যা ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
১৯ মার্চ মেয়েটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে, আমি আসামিদের ফাঁসি চাই। পরিবারটি দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এবং মেয়েটির চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।
হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক রুমা আক্তার জানান, ধর্ষণ ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শিবালয় থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, হৃদয়কে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্য দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। আগামীকাল মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেকে/ এমএস