মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক মুদি দোকানীর বিরুদ্ধে। অপরাধী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে ঘটনায় অভিযুক্ত মুদি দোকানী শাহ আলম খান (৬৫)কে আটক করেছে পুলিশ। সে গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান খানের ছেলে বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভুক্তভোগী শিশুটির ফুফু জানান, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রসুলপুর গ্রামে তাদের বাড়ির পাশের শাহ আলম খানের মুদি দোকানে যায় শিশুটি। দোকান মালিক শাহ আলম শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় সে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা করে। হঠাৎ তিনি সেখানে উপস্থিত হলে হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উল্টো শাহ আলম খান ও তার ছেলেরা তার উপর চড়াও হয়। অভিযুক্ত শাহ আলম খানের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উল্টো তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিশুটি জানায়, শুধু আমি একা না, দাদার দোকানে যারাই যায় আশেপাশে কেউ না থাকলে তিনি বাচ্চাদের তার কোলে নিয়ে বসায়। বিস্কুট দেয়, বেলুন দেয় তারপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, শাহ আলম খানের নৈতিক চরিত্র ভালো নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত শাহ আলম খানের বক্তব্য জানতে বিভিন্ন মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাত নয়টার দিকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে'।