রাজশাহীর মোহনপুরে কৃষককে অপহরণ করে মাথা ও মগজ বিচ্ছিন্ন করা নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রধান দুই আসামি রাসেল ও শরিফুলকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২ টায় ফরিদপুর থানাধীন সালথা থানাধীন সিংহ পোতাপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. রাসেল (২৪) ও মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), তারা রাজশাহীর মোহনপুর থানার ধুরইল এলাকার মো. রুস্তম আলীর ছেলে। সম্পর্কে আপন দুই ভাই।
বুধবার র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা নিহত কৃষক আলতাব আলীর প্রতিবেশী। তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা ও রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত (৯ মার্চ) রাত ৮টায় আসামি শরিফুল নিহত কৃষককে জমিতে যেতে বলে। এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জমিতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত কৃষক ও শরিফুলের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামি শরিফুল এবং তার সহযোগী আসামিরা লাঠি-শোঠা দ্বারা কৃষককে মারপিট, রক্তাক্ত জখম করে ও অপহরণ করে। অপহরণের পর থেকেই মামলার সকল আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে কৃষকের পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে জমিতে মানুষের মাথার মগজ দেখতে পায়।
৬দিন নিখোঁজ থাকার পর (১৬ মার্চ) মোহনপুর থানার তুলসীক্ষেত্র বিলের কাছে একটি মাথা বিহিন লাশ দেখতে পায় এলাকার অপর কৃষকেরা এবং লাশটি কৃষকের বলে শণাক্ত করা হয়।
এঘটনায় মোহনপুর থানায় নিহতের ছেলে বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের ব্যাপক তৎপরতায় র্যাব-৫, রাজশাহী ও র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে কৃষক হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রাসেল ও শরিফুল ইসলামকে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন সিংহ পোতাপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যপারে গ্রেফতারকৃত আসামি দুই ভাইকে মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ।
কেকে/ এমএস