শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪,
২ কার্তিক ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম: এক হওয়ার আগেই বিচ্ছেদের পথে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক      ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করেছে জামায়াত-শিবির: জয়      সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জনের মৃত্যু: যাত্রী কল্যাণ সমিতি      সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙার কাজ করছি: আসিফ মাহমুদ      ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু      ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিতে দুই আড়তে দৈনিক ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে কর্পোরেট উৎপাদকরা      শতকোটি ব্যয়েও হয়নি মশা নিধন      
ধর্ম
উচ্চ বাজারদরে গরিবের প্রতি সদয় দৃষ্টি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪, ৯:৩৯ এএম  (ভিজিটর : ১২)

বাজারদর অনেক কারণেই বাড়তে পারে। কখনো বাড়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে, কখনো বাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে এর প্রথম ধাক্কা লাগে দরিদ্র লোকদের গায়ে। এমন কোনো যুগ নেই যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঢেউ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলেনি। নবীজির (সা.) যুগেও মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে আঘাত করেছে। লোকেরা নবীজির (সা.)-এর কাছে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ করেছিল।

আনাস (রা.) বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আপনি আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ মূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই তা কমান ও বৃদ্ধি করেন এবং একমাত্র তিনিই রিজিকদাতা। তবে আমি আশা করি, আমি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করব যেন আমার ওপর কারও জীবন বা সম্পদের ক্ষেত্রে জুলুমের অভিযোগ না থাকে (আবু দাউদ : ৩৪৫১)। এর কারণ হচ্ছে, নবীজি (সা.) যদি পণ্যের মূল্য বাজারদরের চেয়ে কমিয়ে দিতেন, তবে ব্যবসায়ীদের প্রতি জুলুম হতো। তবে তার বিপরীতে তিনি ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন আল্লাহকে ভয় করতে এবং কেনাবেচার মধ্যে সততা রক্ষা করতে। যাতে ভোক্তা বা ক্রেতার প্রতি পণ্যের অধিক মূল্য নির্ধারণ না করে অথবা পণ্য মজুদ করে বা আটকে না রাখে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে এবং এ ধরনের সংকটকালে সমাজের লোকেরা তাকাফুল পন্থা তথা একে অপরের দায়িত্ব নেবে, জিম্মাদার হবে। ধনীরা গরিব, অভাবী ও দুস্থদের দায়িত্ব নেবে। এমন সংকটের সময়ে তাদের অধিকার জাকাত প্রদান করবে এবং দান-সদকা করবে, যা তাদের সংকটময় মুহূর্তে জীবন চালাতে সাহায্য করবে। ফলে জাকাত ও দান-সদকা সমাজের মানুষকে দরিদ্রতা ও অভাব থেকে হেফাজত করবে এবং রাষ্ট্রের বোঝা হালকা করবে। জাকাত ও সদকা বরকতের কারণ এবং সমাজের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও হৃদ্যতা প্রসারের মাধ্যম।

সাহাবা কেরামের নীতি ছিল, কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সে পণ্য ক্রয় করার পরিবর্তে অন্য পণ্য ক্রয় করতেন বা সে পণ্য ক্রয় করা হতে বিরত থাকতেন। ফলে সে পণ্য আবার সস্তা হয়ে যেত এবং ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসত। আলী (রা.)-এর আমলে মক্কায় কিশমিশের দাম বেড়ে গেল। লোকেরা বিষয়টা কুফায় আলী (রা.)-এর কাছে পত্রে লিখে পাঠালেন। তিনি উত্তরে লিখলেন, তোমরা খেজুর ক্রয়ের মাধ্যমে তা সস্তা করে দাও। অর্থাৎ তোমরা হেজাজে থাকা পর্যাপ্ত খেজুর ক্রয় করো আর তার মূল্যও কম। ফলে কিশমিশের ওপর চাহিদা কমে গেলে তা সস্তা হয়ে যাবে। ইবরাহিম বিন আদহামকে (রহ.) বলা হলো, মাংসের দাম বেড়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, ‘তোমরা তাকে সস্তা করে দাও, অর্থাৎ তোমরা তা ক্রয় করো না’ (তারিখে দিমাশক : ৬/২৮২)। সুতরাং আমাদের কর্তব্য, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইসলামের বাণী প্রচার করা, মূল্যবৃদ্ধি পেলে অভাবী লোকদের সহায়তায় জাকাত ও দান-খয়রাত করা এবং কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলে বিকল্প কম মূল্যের পণ্যের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ও ক্রয় করা।
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বিআরটিসি কার্যালয়ে মানববন্ধনের চেষ্টা, থানায় জিডি
মহানগর দায়রা জজের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
বাংলাদেশের ১ কোটি ভিডিও মুছে ফেলল টিকটক
তথ্যপ্রযুক্তি খাত দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে
হিট অফিসার মাসে বেতন পেতেন ৮ লাখ টাকা

সর্বাধিক পঠিত

তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি
আইডিয়ালে ভাই-বোন ভর্তিতে শতভাগ কোটা চান অভিভাবকরা
হিট অফিসার মাসে বেতন পেতেন ৮ লাখ টাকা
আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার অবস্থান জানাল ভারত
দ্রব্যেমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝