মাদারীপুর জেলার শিবচরের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ এ ২০১৭ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপিত হয়। কলেজের দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে কেন্দ্র স্থাপিত হয়। সম্প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্র এই কলেজ থেকে সরিয়ে শিবচরে নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র বহালের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই কলেজে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, সদরপুর, মাদারীপুরের রাজৈর, টেকেরহাটসহ দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। শিবচরে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টদায়ক। কেন্দ্র সরিয়ে শিবচরে নেওয়া হলে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের শিবচরে যেতে সময় বেশি ব্যয় হবে। আর্থিক ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, এখান থেকে কেন্দ্র শিবচরের কলেজে নিলে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের শিবচরে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। এই কলেজটি ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সাথে। দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা সহজেই কলেজে আসতে পারে। কিন্তু শিবচরে কেন্দ্র স্থানান্তর হলে সময় এবং আর্থিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
শাহনাজ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই কলেজেই উচ্চ মাধ্যমিকের কেন্দ্র পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল্লাহ মিয়া বলেন, আমাদের কলেজে ভাঙ্গা, সদরপুরসহ দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। কলেজটি ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এবং ছাত্রী সংখ্যা আমাদের ছাত্রের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে এখানে কেন্দ্র স্থাপিত হয়। এরপর থেকে সুনামের সাথেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরই হঠাৎ করে কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার চিঠি পাই। যা দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, আমরা কেন্দ্র পুনর্বহালের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজটি ১৯৯৭ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ১৫ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ডিগ্রি, অনার্সসহ সবমিলিয়ে কমপক্ষে ৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
কেকে/এএম