পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের এক টগবগে তরুণ রাবিদ। সদ্য পড়াশোনা করেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন ঢাকায়। এক রোদজ্বলা সকালে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিচিত শহর ঢাকায় এসেছেন। কথা ছিল পৌঁছানোর খবর মাকে জানাবেন। কিন্তু সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়ায়—কোনো খবর দেয় না রাবিদ। ফোন করেন মা রাশেদা বেগম। ফোন করেন বোন সুহাসিনী। বন্ধ পাওয়া যায় রাবিদের নম্বর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়—কোনো খোঁজ নেই রাবিদের। উদ্বেগ বাড়ে, মায়ের বোনের।
এদিকে রাবিদের আশায় অস্থির হয়ে থাকে অনিন্দ্য সুন্দর এক তরুণী—রাই। রাবিদ যাকে কথা দিয়েছে সোনালি আলোর পেখম তলে সাত আকাশের তারা দেখানোর। কিন্তু সবাই প্রতীক্ষায় থাকলেও রাবিদ কেন নীরব? ঢাকায় এসে নামতেই রাবিদকে তুলে নেয় অজানা এক শক্তি। তারপর রাবিদের ঠাই হয় এক অন্ধকার কনসেট্রশন ক্যাম্পে।
কাল্পনিক অভিযোগের স্বীকারোক্তি আদায়ে তার ওপর চলে অমানসিক নির্যাতন। কিন্তু যে সব অভিযোগ আনা হয়, সে ব্যাপারে তো কিছুই জানে না রাবিদ। তাহলে কি স্বীকার করবে কে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো রাবিদকে কেন তুলে আনা হলো? কোনো অজানা শত্রু ধরিয়ে দিলো তাকে? কোথাও কি কোনো ভুল হয়েছে? অন্য কাউকে ভেবে কি আটক করা হয়েছে রাবিদকে? এ এক বিশাল রহস্য।
এদিকে ছেলের খোঁজে পাগাল প্রায় মা চলে আসেন ঢাকায়। খোঁজ করেন বিভিন্ন জায়গায়। ঘোরেন থানায় থানায়। শেষ পর্যন্ত রাবিদের খোঁজ মেলে কি? মা কি খোঁজে পান প্রিয় সন্তানকে? অপেক্ষায় অপেক্ষায় রাইয়ের অবস্থা কেমন হয়?
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মনোরম লোকেশনে ছবির শুটিং করেছেন পরিচালক মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ।
শ্রেয়ান ফিলম্সের প্রযোজনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন—শিবলী নওমান,রেশমী, সামান্তা চৌধুরী, শেখ চাঁদনী, হিল্লোল শাহ আলম সিকদার, আলমগীর ও এস সি মিশুসহ আরো অনেকে। নির্বাহী প্রযোজক দয়াল দত্ত। প্রধান সহকারী পরিচালক মাহফুজ খান। চিত্রগ্রহণ হোসাইন আরমান। রূপসজ্জায় ছিলেন টিটু সিকদার। ব্যবস্থাপনায় বুলেট।
কেকে/এএম