# বর্ষার আগে সংস্কারের দাবি
# বর্ষায় ঝুঁকিতে শত শত পরিবার
# প্রশাসনের উদ্যোগ নেই
কক্সবাজারের রামুতে বালু উত্তোলনকারী ইজারাদার ও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের জন্য আসছে বর্ষা মৌসুমে নদী পাড় ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হতে পারে হাজারো পরিবার । এর আগেও এই বালু উত্তোলনকারীদের জন্য রামুউপজেলাতে একরাকে ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছিল । এমন সমস্যার সম্মুখিন আবারো হতে চান না রামুবাসি।
জানা যায়, বাকঁখালী নদী থেকে রামুতে ড্রেজিং মেশিং দিয়ে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষায় পানির নদী পাড়ের সিসি ব্লক বেষ্টিত বাঁধের বেশিরভাগ অংশ ধসে গেছে। দিন দিন বেড়ে চলছে ধস ও ভাঙনের তীব্রতা। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে দুই গ্রামের হাজারো মানুষ। সামনের বর্ষায় বেড়িবাঁধ ও নদী ভাঙনের ফলে শত শত পরিবার নদীতে বিলীন হওয়ার হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বর্ষার আগেই সংস্কারের দাবি তোলেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁকখালী নদীর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের তেমুহনি জুলেকারপাড়া থেকে অফিসের চর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা জামান শাহিন বলেন, বিগত দিনে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং ও বালু উত্তোলন করেছে। ইজারার সীমানা অতিক্রম করে বালু তোলায় নদী ভাঙন বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, সামনের বর্ষায় বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী আরেক বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, অফিসের চর-রাজারকুল ব্রিজের আশেপাশে নদীর পাড় ভেঙেছে। ব্রিজটি নির্মাণের পর বিগত সরকারের জনপ্রতিনিধিরা দু'পাড়ে সিসি ব্লক দেয়নি। বর্তমানে ব্রিজটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্কার করা না হলে আমাদের ঘর-বাড়ি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
সাবেক এমইউপি সদস্য রিটন বড়ুয়া বলেন, ধসে পড়া সিসি ব্লকের দেড়শ ফুট উজানে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করায় ব্লকের নিচের বালি সরে গেছে। স্রোতের তীব্রতায় ব্লকগুলো ধসে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বালু তোলার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোন ধরনের তদারকি নেই। এ নিয়ে রাজারকুল-ফতেখাঁরকুল পাশ্ববর্তী দুই পাড়ের বাসিন্দার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন বলেন, এই বেড়িবাঁধ ভাঙলে রামু-মরিচ্যা আরাকান সড়ক তলিয়ে যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে। পথচারী ছাড়া সেনানিবাস থাকায় এ সড়কে নিত্যদিন যাতায়াত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাই এই বেড়িবাঁধ সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে সড়ক ও পাশ্ববর্তী ঘর-বাড়ি।
এনিয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে স্থানীয়রা একাধিকবার অবহিত করলে তারা পরিদর্শন করে গেলেও এখনো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছেন।
এদিকে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন-যাপন করছেন নদী পাড়ের হাজারো বাসিন্দা। অতি শীঘ্রই সংস্কারের দাবি তুলেছেন তারা।
কেকে/এজে