বাঞ্ছারামপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান কার্যালয় উদ্ধোধন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি বলেছেন, পরিকল্পিত শিল্প ও শিক্ষা নগরী হিসেবে বাঞ্ছারামপুরকে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া তিনি বলেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কার টেকসই করতে জনগণের ম্যান্ডেট লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উপজেলার দুর্গারামপুরে প্রধান কার্যালয় উদ্ধোধন শেষে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতারপূর্ব এক আলোচনা সভায় জুনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এ বিষয়ে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালো ভুমিকা নেওয়ার দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা বারবার বলছি, সংস্কারের অনেকগুলো জায়গা আছে। কিছু নির্বাচনের আগেই নির্বাহী আদেশে সংস্কার করা সম্ভব, আবার অনেকগুলো সংস্কারের প্রশ্নে যেগুলো সাংবিধানিক ও মৌলিক কাঠামোগত, এগুলো আসলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের করতে হবে। নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা টেকসই হবে না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা বারবার বলছি, সংস্কারের ক্ষেত্রে যেভাবে ইতোমধ্যে ঐকমত্য কমিশন উদ্যোগ নিয়েছে, এ কাজ তাদেরই ছিল। তাদের উদ্যোগে সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে। সর্বসম্মত জায়গায় দাঁড়াবে। সেটি আমাদের জাতীয় সনদ আকারে সামনে আসবে। সেই পরিবর্তনগুলো আসবে। আর যেসব জায়গায় অনৈক্য আছে, দ্বিমত আছে, সেই সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো অধিকতর জনমত গঠন করবে। জনগণের সমর্থনের ওপর বিষয়টি নির্ভরশীল।
সংকীর্ণ স্বার্থে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘সংস্কার যেহেতু আমাদের লক্ষ্য হিসেবে স্থির হয়েছে এবং সংবিধানের অনেক মৌলিক সংস্কার করতে হবে, সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন, যেখানে সংস্কারটা হবে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। একই সাথে এই সংসদ সরকারও গঠন করবে। তবেই সংস্কার অভিপ্রায় হিসাবে টেকসই হবে।
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের বাঞ্ছারামপুর শাখার নেতা রেনু মেম্বার, প্রধান সমন্বয়ক শামীম শিবলী, আপেল মাহমুদ, আব্দুল কাইয়ুমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে