ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি মাইক্রোবাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসটির দুই যাত্রী।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাইক্রোবাস যাত্রী তাহেরা বেগম (৬৫) ও আব্দুস সালাম (১৮)। তারা সবাই নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রোবাস যাত্রী হানিফ মিয়া বলেন, আমার ছোট ভাই হুমায়ুন কবির সৌদি আরব প্রবাসী। ছুটিতে তিনি আজকে বাংলাদেশে আসছেন। আমরা যাচ্ছিলাম তাকে এয়ারপোর্ট থেকে এগিয়ে আনতে। ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আমরা সোনাইমুড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। এসময় চালকসহ আমরা চারজন মাইক্রোবাসটিতে ছিলাম। শুক্রবার ( ২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় পৌঁছাই। এ সময় ঢাকাগামী লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার শিকার হলে মহাসড়কের এই অংশে যানজট ছিল। যানজটে আটকে থাকার সময় হঠাৎ করে ৩-৪ জন যুবক বগিদা, রামদা নিয়ে আমাদের গাড়িতে হামলা করে। তারা আমাদের মারধর করে নগদ ২৮ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ডাকাতের হামলায় আমার মা তাহেরা বেগম, আমার ভাগিনা আব্দুস সালাম আহত হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় গজারিয়া থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ঘটনায় আহত আব্দুস সালাম বলেন, দিনে দুপুরে এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে তা ছিল আমাদের কল্পনার বাহিরে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে আমাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলফোন, স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে রামদা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়, আমি সরে গেলে তা আমার পাঞ্জাবিতে লাগে।
আহত তাহেরা বেগম বলেন, ছিনতাইকারীরা আমার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে আমি তাদের বাধা প্রদান করি এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। তাদের সাথে না পেরে একসময় বাধ্য হয়ে আমি ভ্যানিটি ব্যাগ তাদের দিয়ে দেই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
কেকে/এজে