রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫,
৭ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের আদেশ      এনসিপির হাত ধরে আ.লীগের পুনর্বাসন      গণতন্ত্রের কোনও বিকল্প নাই: মির্জা ফখরুল      উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস-প্রেস সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ      প্রতীক্ষা শেষে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ      রাত ১টার মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে      বাজে হারে অনিশ্চয়তায় টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন       
জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত চীনের
খোলা কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:০১ পিএম  (ভিজিটর : ১০৪)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ইস্যুটির সমাধানকে এগিয়ে নিতে চীনের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। চীন তার সাধ্যমতো প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) চীন-বাংলাদেশের এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। এর আগে সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। গত বছরের আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানানো এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। উভয় পক্ষই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুসংবদ্ধ কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে লালন করতে সমান প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় পক্ষ একমত হয়েছে, ৫০ বছর আগে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন নির্বিশেষে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রয়েছে। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে, তাদের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব এগিয়ে নিতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ও উন্নয়ন কৌশলের মধ্যে সমন্বয় গভীর করতে, চীন-বাংলাদেশ সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারত্বে এগিয়ে যেতে এবং দুই দেশ ও তাদের জনগণের জন্য বৃহত্তর সুবিধা আনতে সম্মত হয়েছে।

এতে বলা হয়, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং কার্যকরভাবে সুশাসন চর্চা, বাংলাদেশে ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করে। বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। চীনের মূল স্বার্থ এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দেশটির প্রচেষ্টার বিষয়ে বাংলাদেশ সমর্থন করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের প্রতি চীন সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং বাণিজ্যিক নীতি ও বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে বস্ত্র ও পোশাক, ক্লিন এনার্জি, ডিজিটাল অর্থনীতি, কৃষি ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহযোগিতা পরিচালনায় চীনা কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানায় এবং চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল (সিইআইজেড) আরও উন্নয়নে চীনা পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু এবং চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তি অনুকূল করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব চীনে বাংলাদেশের তাজা আম এবং অন্যান্য কৃষি ও জলজ পণ্যসহ উচ্চমানের পণ্য রফতানির বিষয়টি উপলব্ধি করতে সম্মত হয়েছে। চীনের সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীনের ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো, চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপো এবং চায়না ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর পূর্ণ ব্যবহার করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য অনুকূল বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ তার প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উভয় পক্ষ জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত পূর্বাভাস, বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন, জলসম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, জলসম্পদ উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। ইয়ারলুং জানবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় পক্ষ ইতিবাচক আলোচনা করেছে। তিস্তা নদীর কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্টে (টিআরসিএমআরপি) চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ব্লু  ইকোনমির সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছে। উভয় পক্ষ সামুদ্রিক বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতার বিষয়ে নতুন দফার সংলাপ আয়োজনে সম্মত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাকে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও চীনা জনগণের আন্তরিক প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।

কেকে/এজে
আরও সংবাদ   বিষয়:  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন   সহায়তার অঙ্গীকার   চীনের  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

শরীয়তপুরের বিএনপির দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীতে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের আদেশ
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে কোম্পানির গাড়িতে ডাকাতি

সর্বাধিক পঠিত

ভাতিজার সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত চাচী, হাতেনাতে ধরলো স্বামী
পুরুষ হয়ে নারী সেজে টাকা উপার্জনের ধান্দা ‘জুতির মা’
মদনে ১২ বছরের মেয়ে ২ মাসের অন্ত:সত্ত্বা
‘অবশেষে নীলফামারীতে হবে চীন সরকারের হাসপাতাল’
সালথায় যুবকের লাশ উদ্ধার

জাতীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close