মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৭৩ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক্সে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এক পোস্টে জানিয়েছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে এই সহায়তা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ডব্লিউএফপি'র মাধ্যমে এই সহায়তা ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেবে। আমরা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্ব অনুভব করি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের পর প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনও শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে, এবং তাদের ৯৫ শতাংশ এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
এ পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদানকারী দেশ। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রায় ২৪০ কোটি ডলার দিয়েছে।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউএসএআইডি (মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) বেশ কিছু সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদান বন্ধ হয়নি।
সম্প্রতি রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার প্রস্তাবে লেবানন ও রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা কমানোর কথা উঠেছিল, তবে পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমোদনে সেই সহায়তা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেকে/এএম