নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মামুদ্দি গ্রামের শতাধিক অসচ্ছল মানুষের মাঝে আব্দুল মোতালিব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মালেশিয়া প্রবাসী সোহানুর রহমান সবুজের সার্বিক তত্বাবধানে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন আব্দুল মোতালিব ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে সোনারগাঁ উপজেলা ওলায়ামা বিভাগের প্রধান মাওলানা ফৌরদীস রহমানের সঞ্চালনায়
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস সূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ৩ এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সহসভাপতি সাত্তার আর্মী,মামুদ্দি জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই পবিত্র রমজান মাসে অসচ্ছলদের সহযোগিতায় ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই বছর বিতরণকৃত সামগ্রীর মধ্যে ছিল শাড়ী লুঙ্গী ও থ্রী পিছ এর আগে চাল, ডাল, চিনি, তেল, সেমাই, গুঁড়া দুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য।
এতে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ পেয়েছে।
ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আবদুল মোতালিব ফাউন্ডেশন সবসময় অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, রমজান সংযমের মাস। এ সময় যারা সামর্থ্যবান, তাদের উচিত অসচ্ছল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই, এই সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের ঈদ আনন্দময় হয়ে উঠুক। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে। সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর এই কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ অসংখ্য দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমরা চাই, সমাজের অন্যান্য সামর্থ্যবান ব্যক্তিরাও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসুক।
উপহার গ্রহণকারীদের অনেকেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ঈদের আগে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমাদের অনেকেরই সামর্থ্য নেই ভালোভাবে ঈদ উদযাপনের। এই সহায়তা আমাদের ঈদ উদযাপন সহজ করে দিল।
আব্দুল মোতালিব ফাউন্ডেশন সমাজসেবা খাতে কাজ করছে। অসচ্ছলদের সহায়তা প্রদান ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সংস্থাটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সবুজ।
কেকে/এএম