বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে মামলা দায়েরের পর বাবার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আলোচিত সেই মন্টু দাসের পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত মন্টু দাসের স্ত্রীকে এ উপহার পৌঁছে দেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে নিহত মন্টু দাসের পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়। এ সময় নিহতের স্ত্রীকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২৫ হাজার টাকা, ঈদ উপহার শাড়ি এবং তিন মেয়েকে ঈদের জামা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে খাদ্যসামগ্রী হিসেবে চাল, চিনি, লবণ, তেল, সেমাই দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের পক্ষ থেকে নিহত মন্টু দাসের পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকেও তাদেরকে বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের করইতলা নামক এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১২ মার্চ বুধবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার ছয় দিন পূর্বে মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেন নিহত মন্টু চন্দ্র দাস।
পরে ওই মামলায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি সৃজীব চন্দ্র রায়কে গ্রেফতারের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সৃজীবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়, মো. আসলাম ওরফে কালু ও মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার দখিয়ে আদালতে রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে ১৯ মার্চ প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১৮ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর ওই বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কেকে/এএম