বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা এই দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে। আমরা তা আর হতে দিব না। তাই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। পলিটিকাল গভমেন্ট ছাড়া দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি'র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, স্বৈরাচারী সরকার দেশ থেকে পালিয়েছে। ছাত্র জনতা ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতায় যোগ দেওয়ায় পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির আত্মত্যাগ দেশের জনগণ স্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশ গঠনে ৩০ দফা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করে এই দেশকে পরিচালনা করা সম্ভব। কেননা আর যাই হোক অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দিয়ে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপিরসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির, আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজুর নবী ডন, জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ লাবু,মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর হাসান সুমন সহ মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এদিকে রংপুর মহানগর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুর নেতৃত্বে পৃথক ভাবে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালীটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কাচারি বাজারে সমাবেশে মিলিত হয়। সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি রাশেদ উন নবী খান বিপ্লব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও জেলা সমবায় দলের আহবায়ক সেলিম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল বসুনিয়া আজাদ, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু আলী মিঠু,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেনুল আরেফীন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক আখতারুজ্জামান তিতু, মহানগর তাঁতী দলের সাবেক আহবায়ক এমএম আলম পান্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুন্তাসির মামুন মুন্না, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমেদ রাজ প্রমুখ। এসময় মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং অংশ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।