ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঈদুল ফিতরের ছুটিকে কেন্দ্র করে কাটা পথের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেলেও ভোগান্তি নেই দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে পাটুরিয়া এলাকায় কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটটি দেশের অন্যতম নৌরুট। যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার যানবাহন এবং কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হয়। তবে, এবারের ঈদ যাত্রায় এর সংখ্যা বেড়েছে। যাত্রীদের নিরাপদ ও দ্রুত পারাপারের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করছেন।
নবীনগর থেকে আসা গার্মেন্টস কর্মী সুমি আক্তার জানান, মহাসড়কে ছোট ও বড় গাড়ির প্রচুর চাপ ছিল। সেই ভোররাতে পরিবারকে সাথে নিয়ে রওনা দিয়েছি। বাসে ভাড়া বেশি নিয়েছে কিন্তু পাটুরিয়া ঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হচ্ছি।
ঢাকা থেকে আসা ফরহাদ বলেন, প্রতিবারের মতো এই পথ দিয়েই বাগেরহাট যাব। মহাসড়কে কাটা পথের যাত্রী বেশি। আগের মত দুরপাল্লার গাড়ি কম থাকায় ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়না। এখন ফেরি যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে।
কোচ চালক শাহিন মিয়া বলেন, আগে যেমন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো এখন এত সময় অপেক্ষা করতে হয় না। চাপ বাড়লেও সিরিয়াল অনুযায়ী বাস পারাপার করা হচ্ছে তাই আগের মতো ভোগান্তি হবে না। তবে, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বেশি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। ঈদের সময় এসব যানবাহন প্রশাসন বন্ধ করে দিলে ভালো হয়।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার পান্নালাল নন্দী জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী পারাপারের জন্য ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। আজ যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে। তবে ভোগান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের এজিএম আবদুস সালাম জানান, যাত্রী এবং যানবাহন দ্রুত পারাপার নিশ্চিত করতে বর্তমানে ১৭টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনটি ঘাটই সচল আছে। যাত্রী ও যানাবাহন বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। যাত্রীদের চাপ বাড়লেও প্রয়োজনে ফেরি আন্ডারলোডের মাধ্যমে পারাপার করা হবে।
কেকে/এএম