মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে যখন হিমশিম খাচ্ছে জান্তা সরকার তখনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কিছু অংশে বিমান থেকে বোমা হামলা চলছে। এই হামলাকে ‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের নাউংচোতে একটি বিমান হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে এই হামলা চালানো হয় বলে বিবিসি বার্মিজ নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াইরত গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সাগাইং অঞ্চলের চ্যাং-ইউ শহরে বিমান হামলা হয়েছে, যা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। থাই সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ভূমিকম্পে বহু ভবন ও সেতু ভেঙে পড়েছে, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে যন্ত্রপাতির অভাবে সেই তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোটিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সবাই যখন ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তখন সেনাবাহিনী মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এটি অবিশ্বাস্য।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর যাদের প্রভাব আছে তাদের জান্তা সরকারকে আরো চাপ দেওয়া উচিত। স্পষ্ট করে বলা উচিত যে, এ হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি জান্তা সরকারকে তাদের যেকোনো সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
কেকে/এএম