শেরপুরের নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ৩ জনকে কারাদণ্ড, ৯৫টি ড্রেজার ধ্বংস, ১২টি স্থাপনা/মাচা, অসংখ্য পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বুরুঙ্গা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, চেল্লাখালী নদীর বর্তমান অবস্থা পরির্দশনে আসেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
চেল্লাখালী নদীর বুরুঙ্গা এলাকায় দুই পাড়ের তীর ভেঙে গভীর গর্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। এতে ওই গ্রামের নদীর পাশের বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা বাধা দেয় পরে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আন্ধারুপাড়া গ্রামের মো. ইমান আলী (৫৫) ও আলমগীর (৩৩) কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের হুমায়ুন কবিরকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২৩) অনুসারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নদী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা অব্যাহত থাকবে।
কেকে/এএম