বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদ মোবারক।
এক মাসের সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন মুসলিমরা। এটি সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
উৎসবমুখর ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ১শ ১১টি ঈদগাহে এবং ১৫শ ৭৭টি মসজিদসহ মোট ১৭শ ৩৯টি ঈদের জামাত হবে।
জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য স্থানে ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় ঈদগাহ আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বম্ব স্কোয়াড, সোয়াট ও ক্যানাইন ইউনিট।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লীদের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকা। জিরো পয়েন্ট, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের পাশের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোল রুম গ্যাপ ও মৎস্যভবন ক্রসিং-এ থাকবে ডাইভারশন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে বিনিময় করবেন ঈদের শুভেচ্ছা।
এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে স্বস্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ যেমন যথাসময়ে ছেড়েছে, তেমনই চোখে পড়েনি অতিরিক্ত যাত্রীবহনও। অনিয়মের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে ঈদযাত্রায় দীর্ঘ যানজটের চিরচেনা চিত্র দেখা যায়নি। তবে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে যানজট দেখা গেছে কোথাও কোথাও।
কেকে/এএম