ইরান নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত না হলে দেশটির ওপর সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরান চুক্তিতে না এলে এমন মাত্রার বোমা হামলা হবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের জবাবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি পরোক্ষ আলোচনার সম্ভাবনা স্বীকার করেছেন, যেখানে ওমান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
২০১৫ সালে বারাক ওবামার সময়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেন। এরপর নতুন আলোচনার চেষ্টা হলেও কোনো সফলতা আসেনি। এবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসন আলোচনা উন্মুক্ত রাখতে চায়, তবে ইরানকে অবশ্যই তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে হবে।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কড়া অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, পুতিনের উচিত ইউক্রেনের বিকল্প নেতৃত্ব বিবেচনা করা।
ট্রাম্প আরো বলেছেন, যদি তিনি ও রাশিয়া ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধ করতে না পারেন এবং রাশিয়ার ভুল থাকে, তাহলে রাশিয়ার তেলের ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক আরোপ করা হবে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। বরং তারা ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলো—বিশেষ করে চীন ও ভারত—প্রভাবিত হতে পারে, যা মস্কোর জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন করে তুলতে পারে। খবর অনলাইন এনডিটিভির।
কেকে/এএম