ঈদের দিন ঘরে বসে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন আগামী বছর আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ আনন্দ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিয়েছেন তিনি এই ঘোষণা দেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, নতুন আঙ্গিকে ঈদ আনন্দ র্যালিতে ঢাকার শতবর্ষের ঐতিহ্যকে আমরা সংযুক্ত করতে পেরেছি। আজ আমরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিল আয়োজন করতে পেরেছি। আগামী দিনে প্রতি বছর একসঙ্গে সকল নগরবাসী এক হয়ে ঈদ উদযাপন করব।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে আমাদের ঈদ উৎসব আনন্দময় হবে। ঘরে বসে আর টিভি দেখে আর (ঈদের) দিন কাটবে না, সবাই একসঙ্গে ঈদ মিছিল করব। ঈদের মেলা উপভোগ করব। সবাই একে অন্যের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেব।
উপদেষ্টা বলেন, এবার আমাদের অনেক সময় স্বল্পতা ছিল। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক বড় পরিসরে ঈদের উৎসব আয়োজন করব।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ডিএনসিসি আয়োজিত জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে সকাল ৯টায় সেখান থেকেই শুরু হয় বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল। সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হয় মিছিলটি।
মিছিলে ছিল সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্র। এ ছাড়া সুলতানি-মোগল আমলের ইতিহাসচিত্র সংবলিত পাপেট শোয়ের আয়োজন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ হয়।
এবার ঢাকা উত্তর সিটির ঈদ আনন্দ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলা। ঈদের দিন ও পরদিন এ মেলা হবে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। মেলায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল থাকবে। দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা থাকবে। খেলাধুলার জন্য রাখা হবে বিভিন্ন সামগ্রী।
কেকে/এএম