ফ্যাসিবাদ সরকারের শাসনামলের থেকে এবার ঈদ আনন্দময় পরিবেশে হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরের চেয়ে এবারের ঈদে অনেক পার্থক্য আছে। এবার মানুষ মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। যা বিগত বছরগুলোতে পারেনি।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এ দিনে আমরা আশা করব যে যেই দায়িত্ব নিয়েছেন সে সেই দায়িত্বে সফল হবেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করব বলে শপথ নিয়েছি।’
মির্জ ফখরুল বলেন, আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে প্রত্যেকটি বাংলাদেশী মানুষ যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেই জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। দোয়া চেয়েছি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসবেন এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি যেন অতি শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান শেরে বাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এসে তার কবরে ফুল দেন এবং দোয়া করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন—আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহাস্রাধিক নেতাকর্মী।
বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদেন বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক। আপনাদের মাধ্যমে আমরা পুরো দেশবাসীর কাছে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে এসেছিলাম। আমরা পরম করুনাময় আল্লাহতালার কাছে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি। আমরা একই সঙ্গে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে যারা প্রাণ দিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন তাদেরও আত্মর মাগফেরাত কামনা করেছি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা এদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি এবং গণতন্ত্রের জন্য বিগগ ১৫ বছর ও জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।’
ফখরুল বলেন, আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে প্রত্যেকটি বাংলাদেশী মানুষ যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেই জন্য আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করেছি।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানবাধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছে সেই সংগ্রাম যেন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য পরম আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।’
কেকে/এএম