গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনশক্তি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেলে মাওলানা আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আনন্দঘন আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন স্তরের প্রায় দুই শতাধিক জনশক্তি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও রংপুর মহানগর সভাপতি মাহমুদ হাসান।
ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিবের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির শহিদুল ইসলাম মঞ্জু, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহকারী সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হোসাইন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক সামিউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুন্নবী প্রামাণিক সাজু, পৌর জামায়াতের আমির একরামুল হক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলায়মান সরকার সাজা, ছাত্রশিবিরের সাবেক গাইবান্ধা জেলা সভাপতি সরকার হাশেমুজ্জামান, চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএস সাজ্জাদুর রহমান আমুশ, বনানী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাফি, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সোলায়মান মিয়া, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঈদ শুধু আনন্দের উৎসব নয় এটি পারস্পরিক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে দৃঢ় করার অনন্য উপলক্ষ। এ সময় একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করাই সত্যিকারের ঈদের শিক্ষা। সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভ্রাতৃত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করা জরুরি।
তারা আরো বলেন, সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল আজিজ ছিলেন আধুনিক সুন্দরগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার। শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও মানবসেবায় তার অনন্য অবদান আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে সুন্দরগঞ্জের বহু অবকাঠামোগত ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তার আদর্শ ও নীতিকে অনুসরণ করে এগিয়ে গেলে সুন্দরগঞ্জকে একটি সমৃদ্ধ জনপদে রূপান্তরিত করা সম্ভব। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তারা।
ঈদ পুনর্মিলনীর অংশ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙ্গা, বল নিক্ষেপ ও রশিটানাটানি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ইসলামী সংগীত, ভাওয়াইয়া গান, কবিতা আবৃত্তি ও কৌতুক অভিনয়ে মেতে ওঠেন, যা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে এবং আনন্দকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।
অংশগ্রহণকারীরা জানান, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বন্ধনের উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান তাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা বলেন, এমন আয়োজন শুধু আনন্দের নয়, বরং পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে এবং সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন তারা।
কেকে/ এমএস