মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাকিস্তানে ভূমিকম্প। ঈদুল ফিতরের দিন করাচিতে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) এমনই তথ্য জানিয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে। এই কম্পন অনুভূত হয়েছে করাচিতেও।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) জানিয়েছে, কম্পনটির গভীরতা ছিল ১৯ কিলোমিটার, আর এর কেন্দ্রস্থল করাচি থেকে ৭৫ কিলোমিটার উত্তরে।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় হঠাৎ ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে, আতঙ্কে অনেকে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই ভয়াবহ ঘটনায় কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। এতে মিয়ানমারের বহু এলাকাসহ থাইল্যান্ডও এই ভূমিকম্পের জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে দেশগুলিতে। মিয়ানমারে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০০ পার করেছে। এই গোটা সপ্তাহ সে দেশে শোক-সপ্তাহ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
৬ এপ্রিল পর্যন্ত সেদেশে জাতীয় পতাকা অবনমিত থাকবে। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি মান্দালয়ের। সেখানে রাস্তায় বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারের ভূূমিকম্পের রেশ এসে পড়ে বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও। মৃদু কম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও।
এদিকে, নিমেষেই তছনছ হয়ে যায় থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বহু জায়গা। মিয়ানমারের জুন্টা সরকার জানিয়েছে, সে দেশে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৬ জন। ২৭০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০ জন। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। যেখানে ৩০ তলার একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ে কম্পনের জেরে।
কেকে/এএম