ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে মুরগী নিয়ে দ্বন্দ্বে অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নামে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
গ্রেফতার ওই নারীর নাম আমিনা (৬০)। তিনি ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহতের নানি শাশুড়ি। ১০ থেকে ১২ দিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিহতের শাশুড়ি সুর্য বানু (৪৫), ননদ ইয়াছমিন (১৯) ও শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫)।
নিহত কুলসুম ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহতের শাশুড়ির রান্না ঘরে পুত্রবধূর পালিত মুরগি গেলে বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কুলসুমকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করেন। তার কপালের ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম, মুখ, পিঠসহ সারা শরীরে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, আমার বোনের মুরগী তার শাশুড়ির আটা খেয়ে ফেলে। তাকেই কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমার বোনের শাশুড়ী, শশুড়, নানী শাশুড়ী, ভাশুরের মেয়ে মিলে আমার বোনকে খুব মারতে থাকে। আমার বোনের ভাশুরের মেয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তারা সকলে মিলে মারতে মারতে যে পর্যন্ত দম না গেছে সে পর্যন্ত মারছে।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেকে/এজে