গাজীপুরে ডার্ড গ্রুপের নির্যাতিত ও বঞ্চিত শ্রমিক-কর্মচারীরা সমবণ্টন এবং চুক্তি মোতাবেক অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকরা জানান, হঠাৎ করেই গত বছরের ২২ নভেম্বর ডার্ড গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কয়েক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই মালিকেরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মালিকপক্ষ, সরকার ও শ্রমিক প্রতিনিধির মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলে মধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ২২ কোটি টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে এখনো তা পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
অন্যদিকে, ২৯ অক্টোবর ২৪ আরেকটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মালিকপক্ষ ২৭ কোটি টাকা বকেয়া স্বীকার করে এবং সরকারের কাছ থেকে সুদমুক্ত ১৩ কোটি টাকার লোন পাওয়ার বিষয়টি জানায়। ১০ ডিসেম্বর ২৪ সেই লোন গ্রহণের পরও এখনো পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে অর্থ বণ্টন করা হয়নি।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর বেতন, লে-অফকালীন মজুরি, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনাসহ বহু অর্থ এখনও বকেয়া রয়েছে। এই দাবিতে তারা শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও এবং অন্তত ১৫ বার রাজপথে আন্দোলন করেছেন।
শ্রমিকদের দাবি, ১৩ কোটি টাকা দ্রুত সমবণ্টন ও অবশিষ্ট পাওনা দ্রুত পরিশোধ না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
কেকে/এএস