কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চর সাজাই গ্রামে রত্না খাতুন নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী বিজিবি সদস্য মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম বর্তমানে বান্দরবনের থানচি ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার ( ২৯ মার্চ) গভীর রাতে মঞ্জুরুল কৌশলে রত্নাকে দেখা করতে রাজি করান। এরপর বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান। রত্নার চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী ও রাজীবপুর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে পাশের গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে রত্না খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকের জন্য রত্নার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। যৌতুকের জন্য প্রায়ই মারধর করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে রত্না খাতুন বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
পরে আহত রত্নাকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন, ৩০ মার্চ রত্না খাতুন রাজীবপুর থানায় স্বামী মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সে এখন আর আমার স্ত্রী নয়, সে অন্যত্র বিয়ে করেছে।’
অন্যদিকে, রত্না খাতুন বলেন, আমার বাবা গরিব মানুষ ছিলেন, তিনি এখন আর বেঁচে নেই। আমি যৌতুক দেব কোথা থেকে? আমি এখনো স্বামীর সংসার করতে চাই।
ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান রাজীবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।
কেকে/এএস