মসজিদের অর্থের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে মুন্সী মিরান হোসেন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা মারা গেছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য ও শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল মল্লিকপাড়া জামে মসজিদে মুসল্লিদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকার হিসাব নিয়ে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা জামিরুল ইসলামের সঙ্গে মিরান হোসেনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জামিরুল সমর্থিতরা লাঠিসোটা নিয়ে মিরানের ওপর হামলা চালায়। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি অচেতন হন।
প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে মিরানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের সমর্থকরা জামিরুল ইসলামের নাকোল গ্রামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে সদর থানার সামনে সমাবেশ থেকে মিরান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিরান হোসেনের মরদেহ রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বিকালে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কেকে/এএম