ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এইচ জেড শুকরী সেলিম, উজানচর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সহসভাপতি চান মিয়া মেম্বার, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সৈকত,উপজেলা বিএনপির সদস্য তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ৫ এপ্রিল কতিপয় ব্যক্তিসহ আল আমিন সরকার সংবাদ সম্মলেন করে।
জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী আল আমীন সরকার প্রধান ও তার বাহিনী দ্বারা রাধানগর আরাফাত রহমান কোকোর নামে কার্যালয়টি তিনি নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন এবং সেখানে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন।
তাতে বাধ সাজে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। আর সে কারনেই আল আমীন সরকার ও তার দল নিজেরাই ভেঙে পলাশের উপর দায় চাপিয়ে বিভিন্ন নাটক সাজায়, যাতে দলের নেতা পলাশ ও বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
উজানচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদ মেম্বার বলেন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শুকড়ি সেলিম বলেন, পলাশ দলের দুঃসময়ে বিএনপির হাল ধরে বাঞ্ছারামপুরের মাটিকে বিএনপির ঘাটিতে পরিণত করেছে। এসব ভূঁইফোড় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দালালদের মিথ্যা অভিযোগে পলাশ বা দলের কিছুই হবে না।
উজানচর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অভিযোগকারী আল আমীন সরকার একজন মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
কেকে/এএম