মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ওজনে কম দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোড়ক পরিবর্তন করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (০৬ এপ্রিল) রাত সন্ধ্যা সাতটার সময় তার দোকানে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোড়ক পরিবর্তন করার সময় ৩৩ বস্তা চালসহ দুজনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসব বস্তায় ১৬৫০ কেজি চাল ছিল বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে ওএমএস ডিলার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন ওজনে কারচুপি করেন এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েকবার ওজনে কারচুপি করে সেই চাল খোলা বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিল্লাল মিয়া বলেন, 'এই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক পুরনো। বিষয়টি বলতে পারেন এটি এখন এলাকায় ওপেন সিক্রেট। হতদরিদ্রদের চাল ওজনে কম দিয়ে সরিয়ে রাখেন তিনি। সুযোগ বুঝে সরকারি বস্তার চাল নতুন বস্তায় ভরে বাজারে বিক্রি করে দেন'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমি সেখানে যাই। দেখি ওএমএস-এর ডিলার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেনের দোকানে সরকারি ওএমএস-এর চালের মোড়ক পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত মোড়কে প্যাকেট করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে আরাফাতের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে দুইজন শ্রমিককে আটক ও ৩৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে দুই শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।
কেকে/এআর