শরীয়তপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আল ইসলাম মাদবর ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মা সাহিনা বেগম (৪৩) ও মেয়ে মারিয়া আক্তারকে (১৫) শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সাহিনা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামের প্রবাসী মজিদ মাদবরের সাথে একই এলাকার আল ইসলাম মাদবরের জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।
এর জের ধরে রোববার রাত ৯টার দিকে আল ইসলাম মাদবর (৪৫) এবং তার ছেলে ছোবাহান মাদবর (২২) ও রফিকুল মাদবর (১৮) লাঠিসোঠা নিয়ে প্রবাসী মজিদ মাদবরের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী সাহিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় মেয়ে মারিয়া আক্তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা বাড়িতে লুটপাট করে চলে যাওয়ার পর স্বজনরা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় সাহিনা বেগম বাদী হয়ে আল ইসলাম মাদবর, তার ছেলে ছোবাহান মাদবর ও রফিকুল মাদবরকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সাহিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে রয়েছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আল ইসলাম মাদবর ও তার ছেলেরা হঠাৎ আমার ওপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমাকে বাঁচাতে আমার মেয়ে আগাইয়া আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা আমার ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে আল ইসলাম মাদবর বলেন, আমরা কেউ তাদের মারধর করিনি এবং লুটপাটও করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।