যুবদল নেতা সোহাগ বলেন, ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পাইছি। তুই কাজের সাইটে কেন গিয়েছিস? বলে সাংবাদিককে হুমকি যুবদলের নেতার।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে মুঠোফোনে তিনি এ হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে সেই অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দেশ রূপান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সোহাগ।
অডিওটিতে যুবদল নেতা সোহাগ বলেন, ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পাইছি। তুই কাজের সাইটে কেন গিয়েছিস? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে, তুই কেন যাবি? তুই কি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ সাইটে যাওয়ার না। খোট খাইতে যাও? আমি আসতেছি, তুই ওখানে থাক। তোকে খোট খাওয়াইতে আসছি। তুই অফিসে যোগাযোগ কর, ফইজলামি ছড়াস? তুই সাংবাদিক, অন্য কাজ কর। সাইটে গেলে তোকে কিভাবে কী করতে হয় সেটা দেখাব। তোকে দেখে নেব।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার হুমায়ুন কবির সোহাগকে ফোন দিলে তিনি পরে আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির সোহাগ বলেন, ‘আমি সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি বলেছি, আমার এক ভাই কাজ করে। আমরা নিজেরা নিজেরা কোনো সমস্যা হলে বসে কথা বলে সমাধান করব।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছেন সমাজের দর্পণ। তারা সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরবেন। তাদের পেশাগত কাজে কেউ বাধা প্রদান কিংবা হুমকি দিলে যুবদল তা সমর্থন করে না। এমন ঘটনা ঘটলে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক।’
কেকে/এআর