নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডা. আবু বিন হাজ্জাজের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে হাসপাতালের সামনে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে তাকে অপসারণের ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়।
মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর, যুগ্ম আহবায়ক সাইয়েদ গোলাম আজম, রইসুল ইসলাম অম্লান ও সাইয়েদুজ্জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম ও ছাত্র প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা এবং খাবার মান অত্যন্ত খারাপ। প্রয়োজনীয় ঔষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররাই কর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন এই তত্বাবধায়কের সহায়তায়।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর বলেন, ‘হাসপাতালের এই তত্বাবধায়কের কারণে সেবার মান বাড়ছে না। রংপুরে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ একজন কর্মকর্তা কিভাবে এখনো হাসপাতালে বহাল থাকেন?’
জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। তাকে এখান থেকে সরে যেতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে’।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডা. আবু বিন হাজ্জাজ বলেন, ‘অভিযোগ থাকতে পারে। সেগুলো অনুসন্ধান হোক তাহলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। আমিও চাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করুক।’
কেকে/ এমএস